ঘুমের পর্যাপ্ত সময় জেনে নিন
মানুষের স্বাভাবিক জীবন-যাপনের জন্য বিশ্রাম নেওয়ার অন্যতম উপায় হচ্ছে ঘুম।
কিন্তু সারাদিনে কতটুকু ঘুমানো প্রয়োজন, কতটুকু ঘুমানো স্বাস্থ্যের জন্য ভালো
আবার কতটুকু ঘুমানো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর সেগুলো জেনে নিন।
আমরা অনেকেই মনে করি যে কোনো সময়ই ঘুমানো যায়। আসলে সঠিক সময়ে না ঘুমালে আমাদের
মন-মানসিকতা অত্যন্ত খিটখিটে হয়ে যাবে। আবার শরীরে ক্লান্তির ছাপ দেখা দিবে,
যারফলে আমাদের দৈনন্দিন কাজে কোনো মনযোগ বসে না। মানবজাতি সৃষ্টির শুরু থেকেই
কঠোর পরিশ্রমী,আর পরিশ্রম করার জন্য আহার, ঘুম, সঠিক ভাবে প্রয়োজন।
সুচিপত্রঃ ঘুমের পর্যাপ্ত সময় জেনে নিন
শিশুদের ঘুমের পর্যাপ্ত সময়
সাধারণত ১৮ বছরের নিচে সকল ছেলে-মেয়েদের শিশু বলে অভিহিত করা হয়। শিশুরা সবসময়ই চঞ্চল প্রকৃতির হয়।তারা লাফালাফি, দৌড়াদৌড়ি, খেলা-ধুলাতে বেশি সময় ব্যয় করে থাকে। তাই সারাদিনের ক্লান্তি দূর করার জন্য তাদের ঘুমানোর প্রয়োজন হয়। ৫ মাস থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুদের সারাদিনে ১২-১৫ ঘন্টা ঘুম প্রয়োজন হয়।
১ বছর থেকে ২ বছর বয়সী শিশুদের সারাদিনে ১১-১৪ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন হয়। ৩-৫ বছর বয়সী শিশুদের সারাদিনে ১০-১৩ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন হয়। ৬-১৩ বছর বয়সী শিশুদের সারাদিনে ৯-১১ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন হয়। আর ১৪-১৭ বছর বয়সী শিশুদের জন্য ৮-৯ ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন।
প্রাপ্ত বয়স্কদের ঘুমের পর্যাপ্ত সময়
বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই প্রাপ্ত বয়স্ক বলতে ১৮ বছর থেকে শুরু করে ২৬ বছর বয়সী
ছেলে-মেয়েদের প্রাপ্ত বয়স্ক ধরা হয়।এসব বয়সী ছেলে-মেয়েদের সারাদিনে কিছু
নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানো প্রয়োজন। যেমন, ১৮ থেকে ২১ বছর বয়সী মানুষদের রাতে ৭-৯
ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন। ২২-২৬ বছর বয়সী মানুষদের ৭-৯ ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন। এই
সময়গুলো মেনে চললে শরীর ও মন উভয়ই ভালো থাকবে।
বয়স্কদের ঘুমের পর্যাপ্ত সময়
মানুষ সবচেয়ে বেশি যে বয়সে বিভিন্ন রোগ-বালাই এ আক্রান্ত হয় সে বয়সটা হচ্ছে ২৭-৬৫
বছর। অর্থাৎ ২৭-৬৫ বছরে একজন মানুষ বয়স্ক মানুষে পরিণত হয়।এসময় তাদেরকে অনেক নিয়ম
মেনে চলতে হয়।এই ২৭-৬৫ বছর বয়সী মানুষদের ঘুমের পর্যাপ্ত সময় হচ্ছে রাতে ৭-৮
ঘন্টা।এবং ৬৫ বছরের চেয়ে বেশি বয়সী মানুষদের ঘুমানো প্রয়োজন ৬-৭ ঘন্টা।
প্রয়োজনীয় ঘুমের সুফল
শরীর ও মনকে প্রফুল্ল রাখার জন্য সময় মতো ঘুমানো দরকার। এতে করে খাবার সহজে হজম
হবে, শরীরে প্রচুর শক্তি পাবেন। কাজ করার মনোবল বাড়বে এবং চেহারাও উজ্জ্বল হবে।
তাই আমাদের নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন।
অতিরিক্ত ঘুমের কুফল
মানুষ তার পর্যাপ্ত ঘুমের চেয়ে অনেক সময় অতিরিক্ত ঘুমাতেও অভ্যস্ত।কিন্তু
অতিরিক্ত ঘুম আমাদেরকে অলস বানিয়ে দেয়, কোনো কাজে মনযোগী হওয়া যায় না। অতিরিক্ত
ঘুমের ফলে স্মৃতিশক্তি লোপ পায়।যা মারাত্মক রোগের সৃষ্টি করে। তাই অতিরিক্ত ঘুম
পরিহার করতে হবে।
পর্যাপ্ত ঘুম যেমন আমাদের জন্য, আমাদের শরীরের জন্য সুফল বয়ে আনে।ঠিক তেমনি
অতিরিক্ত ঘুম আমাদের শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।তাই আমাদের নিয়ম মেনে ঘুমাতে হবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url