OrdinaryITPostAd

বঙ্গবন্ধু টানেল সম্পর্কে জানুন

 আপনারা যারা বঙ্গবন্ধু টানেল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের এই আর্টিকেল টি ভালোভাবে মনোযোগ সহকারে পড়ুন। 



বিশ্বের প্রায় উন্নত সবদেশেই রয়েছে টানেল বা সুরঙ্গ সড়ক।ঠিক তেমনি আমাদের এই বাংলাদেশেও তৈরি হয়েছে দেশের প্রথম টানেল বা সুরঙ্গ রাস্তা। যা বঙ্গবন্ধু টানেল নামে ইতোমধ্যে সারাবিশ্বে পরিচিত হয়েছে। 

সূচিপত্রঃবঙ্গবন্ধু টানেল সম্পর্কে জানুন

  • সূচনা 
  • ভিত্তি উদ্বোধনী ইতিহাস 
  • অর্থ ব্যয়ের হিসাব
  •  নির্মাণ কাজ সম্পন্ন 
  • সাধারণের প্রবেশ ও উদ্বোধন 

সূচনা 

বাংলাদেশে নির্মাণাধীন প্রথম  টানেলের নাম হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল বা কর্ণফুলী টানেল।যা কর্ণফুলী নদীর তলদেশে অবস্থিত। এই টানেল বা সুরঙ্গটি কর্ণফুলী নদীর দুইধারের অঞ্চলকে যুক্ত করেছে। বঙ্গবন্ধু টানেলের দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৩.৩২ কিলোমিটার। যা দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘতম ও প্রথম টানেল বা সুরঙ্গ সড়ক। চীনা প্রতিষ্ঠান চায়না কমিউনিকেশন অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড এই সুড়ঙ্গ নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে।

 চট্টগ্রাম শহরপ্রান্তের বাংলাদেশ নেভাল একাডেমির পাশ দিয়ে শুরু হয়ে নদীর দক্ষিণপাড়ের আনোয়ারা প্রান্তের চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড ও কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার লিমিটেড কারখানার মধ্যভাগের স্থান দিয়ে নদীর দক্ষিণ প্রান্তে পৌঁছাবে।কর্ণফুলী নদীর মধ্যভাগে এই টানেলটি অবস্থান করবে ১৫০ ফুট গভীরে। 

ভিত্তি উদ্বোধনী ইতিহাস 

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিন পিং ২০১৬ সালের ১৪ই অক্টোবর এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরবর্তী ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা "বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল" এর নির্মাণ কাজ আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করেন। 

অর্থ ব্যয়ের হিসাব

বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণে ব্যয় ১০ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা। ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিন পিং  এর ঢাকা সফরের সময় বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণে বাংলাদেশের সাথে ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর হয়।দুই শতাংশ সুদে ৫ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা চীনের এক্সিম ব্যাংক ২০ বছর মেয়াদী চুক্তিতে বাংলাদেশকে ঋণ দেয়। বাকি অর্থ বাংলাদেশ সরকার বহন করছে। 

নির্মাণ কাজ সম্পন্ন 

বঙ্গবন্ধু টানেলের নির্মাণে কাজ করেছে চীনের বিখ্যাত কম্পানী চায়না কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড। টানেলটির বিভিন্ন অংশ চীনের বেইজিংয়ে উৎপাদন করে বাংলাদেশে আনা হয়।২০২২ সালের মধ্যেই নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও আগষ্ট ২০২৩ পর্যন্ত নির্মাণ কাজ চলতে থাকে। টানেলটির প্রতিটি টিউবের প্রস্থ ৩৫ ফুট ও উচ্চতা ১৬ ফুট। 

সাধারণের প্রবেশ ও উদ্বোধন 

বাংলাদেশের প্রথম সুরঙ্গ সড়ক বা টানেলের উদ্বোধন করা হয় ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবরে।আর উদ্বোধনের পরের দিন অর্থাৎ ২০২৩ সালের ২৯ অক্টোবরে জনসাধারণের প্রবেশের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেশরত্ন শেখ হাসিনা। 

ধন্যবাদ প্রিয় পাঠক, এরকম আরও আর্টিকেল পড়তে নিয়মিত আমাদের এই  ওয়েবসাইট টি ভিজিট করুন। 


 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪